০২ এপ্রিল, ২০২৫ || ১৯ চৈত্র, ১৪৩১
কবিরহাটে নির্বাচনী পথসভায় ' বিএনপি হচ্ছে রাজনৈতিক পরগাছা! ' - ওবায়দুল কাদের
  • Updated Dec 24 2023
  • / 514 Read


এএইচএম মান্নান মুন্না;
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে এ দেশের রাজনৈতিক পরগাছা। এদেরকে রাজনীতি থেকে বিতড়িত করতে হবে। শেখ হাসিনাকে যারা হটাতে চায়, আমরা তাদের হটিয়ে দেব। শনিবার নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রায়হান'র সঞ্চালনায় নির্বাচনী পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।


ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও ডিম পাড়ে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
তিনি বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। তাদের এখন লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হটাও। বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার তারা শেষ করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি রক্ষা করতে হয়, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয়, তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনা আবারও চাই। বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু নেই
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে যারা শেখ হাসিনাকে ছোট করে, শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এবারের নির্বাচনে দলে দলে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই– আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে চাই। আমাদের নেতা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে যার হটাতে চায়, আমরা তাদের হটিয়ে দেব।
বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক জিয়া ২০০৭ সালে পালিয়ে গেছে। সেই তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপিকে চালায়। লন্ডনে বসে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। সে মনে করেছে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলার মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করেছে। তার কথায়ও দেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করবে। তারেক ও বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ অসহযোগিতা করবে। অসহযোগ করে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি নামক পরগাছাকে রাজনীতি থেকে হটিয়ে দেবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দেশ তোমার বাপ-দাদার দেশ নয়। তারেক রহমান বলে বিদ্যুতের, গ্যাসের, পানির বিল বন্ধ করে দেবে। যারা বিল বন্ধ করতে যাবে, তাদের বিদ্যুৎ-গ্যাসের লাইন কেটে দেওয়া হবে। যদি তারা ব্যাংক লেনদেনে সমস্যা করতে চায়, তাহলে ব্যাংক তাদের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দেবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ীর তারেকের কথা শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপিকে যারা অর্থ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে, তাদের অর্থ বন্ধ হয়ে যাবে। অসহযোগের উদ্দেশ্যও ভুয়া। বিএনপির অবরোধ ও হরতাল ভুয়া। রাস্তায় গাড়ি, মানুষ, যানজট লেগেই আছে, এটা নাকি হরতাল-অবরোধ। বিএনপির সবকিছুই ভুয়া।


তিনি বলেন, বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ। নির্বাচনে ১৮৯৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এই প্রার্থীদের খেলা এখনো আছে। সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ লড়াই বাংলাদেশের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচিয়ে রাখা লড়াই। এই লড়াই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই, এই লড়াই বাংলাদেশের সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার লড়াই। এই লড়াইয়ে সরকারকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে, নৌকাকে বাঁচাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খেলা হবে দণ্ডিত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে, খেলা হবে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। ফাইনাল খেলা হবে ৭ তারিখে। সারা বাংলাদেশে সেই খেলায় বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মোরশেদ আলম এমপি, নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন (জেহান), ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনসহ নোয়াখালী আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *